তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক গ্রেপ্তার
রাজনৈতিক দলগুলোর ধ্বংসাত্বক কর্মকান্ডের
কারণে দেশে বিশৃংখল অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার
পরিপ্রেক্ষিতে ১১ জানুয়ারী, ২০০৭
তারিখে নিয়মতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে
অপসারণ করে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার
গঠিত হয় যার প্রধান ছিলেন ফখরুদ্দীন
আহমদ এবং সেনাপ্রধান ছিলেন লেফটেন্যান্ট
জেনারেল (পরে জেনারেল হিসেবে অবসর নেন)
মঈন উদ্দিন আহমেদ।
১২ জানুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদ নাম্নী একটি
মন্ত্রীসভা গঠিত হওয়ার পর সরকারের
পক্ষ থেকে দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদ
ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ
মামলা দায়ের করা হয়।
৭ মার্চ, ২০০৭ তারিখে একটি দূর্নীতি মামলার
আসামী হিসেবে তারেক রহমানকে তার ঢাকা
ক্যান্টমেন্টস্থ মইনুল রোডের বাসা
থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে আরও ১৩টি দূর্নীতির মামলা
দায়ের করা হয় ও তাকে বিচারের সম্মুখীন
করা হয়।
আটকাবস্থায় শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ
গ্রেপ্তারের কিছুদিন পর তারেককে আদালতে
হাজির করা হলে তার শারীরিক অবস্থার
অবনতির জন্য তার আইনজীবিরা আদালতে
অভিযোগ করেন যে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে তারেক রহমানের
উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে চিকিৎসকদের একটি
দল পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর আদালতকে জানায়
যে তারেক রহমানের উপর শারীরিক নির্যাতনের
অভিযোগ যুক্তিযুক্ত।
এই পর্যায়ে আদালত রিমান্ডে নেয়ার
আদেশ শিথিল করে তা কমিয়ে ১ দিন ধার্য
করেন ও জিজ্ঞাসাবাদকারীদের সাবধানতা অবলম্বনের
আদেশ দেন।
এরপর তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিবর্তে
ঢাকার শাহবাগস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর
করা হয়।
২৫ আগস্ট, ২০০৭ তারিখে খবর ছড়িয়ে পড়ে
যে তারেক রহমান তার হাসপাতাল কক্ষে পা
পিছলে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন।
এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ দেখা
দেয়, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়,
ঢাকা কলেজ ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে বিক্ষোভ
ছড়িয়ে পড়ে।
মুক্তিলাভ ২০০৮ এর আগস্টে তারেক
রহমানের বিরুদ্ধে মামলাগুলো আদালতে
গতি লাভ করে।
প্রায় আঠারো মাস কারান্তরীণ থাকার
পর ৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে সবগুলো
মামলায় তারেক রহমানের জামিন লাভ করেন ও
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তি
লাভ করেন।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগগুলো
এই মুহুর্তে জাতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে
বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে আছে।
কোন কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক সন্দেহ
পোষণ করেছেন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে
দূর্নীতির অভিযোগ অনেকাংশেই রাজনৈতিক
উদ্দেশ্য-প্রণোদিত।
Không có nhận xét nào:
Đăng nhận xét